রাজবাড়ীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মাত্র ১২ দিনের পরিচয়ে প্রেমের সম্পর্কের জেরে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী। এ ঘটনায় বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ভুক্তভোগীর বাবা ৪ জনকে আসামি করে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রাজবাড়ী সদর উপজেলা বরাট ইউনিয়নের উড়াকান্দা গ্রামের বাবুর ছেলে মো. সোহান (১৬), দাদশী ইউনিয়নের আগমাড়াই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে সালমান মাহিন (১৬) ও দাদশী ইউনিয়নের কামালদিয়াকান্দি গ্রামের মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে সজিব অমিত (১৯)। এ ঘটনায় পলাতক রয়েছেন বরাট ইউনিয়নের ভবদিয়া গ্রামের আলোকের ছেলে রাশেদ (২০)।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ওই ছাত্রীর সঙ্গে সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের বাবুর ছেলে সোহানের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের সুবাদে মেয়েটিকে দেখা করতে বলে ওই কিশোর। ১৮ ডিসেম্বর দুপুরে সদর উপজেলার ভবদিয়া পার্কে তারা দেখা করে। পরে সেখান থেকে কৌশলে তাকে একটি বাড়িতে নিয়ে যায় ওই কিশোরসহ তার তিন সহযোগী। সেখানে আটকে রেখে মেয়েটিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে মেয়েটিকে জেলা শহরের বড়পুল এলাকায় রেখে পালিয়ে যায় ওই কিশোর। এরপর মেয়েটি তার বাড়িতে গিয়ে সব কিছু খুলে বলে।
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান বলেন, মেয়েটির জবানবন্দি আদালতে রেকর্ড করা হয়েছে। তার ডাক্তারী পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে। গ্রেপ্তার ৩ জনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন